বিদ্যালয়ের অনুমতি/ স্বীকৃতি
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আপনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসলেন, তিনি আপনাে যিনি আপনাকে লালনপালন করেছেন, যিনি আপনাকে রিজিক দিচ্ছেন, মিমি আপনাকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখছেন, যিনি আপনাকে সকল প্রকার রাতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখেন যিনি আপনাকে দুটো হাত দিয়েছেন, দুটো পা দিয়েছেন। দুটো চক্ষু আপনাকে তিনিই দিয়েছেন, তিনি আপনাকে ঐ পরিমাপ নেয়ামত দিয়েছেন, থাকে গপনা করে শেষ করা যাবে না। সবকিছু তো তিনিই আপনাকে দিয়েছেন। যার কাছে আপনাকে যেতে হবে। প্রতি মুহূর্ত আমি আপনি সকালেই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। আপনি সব সময়ই আল্লাহকে ডাকবেন। ভুলে গেলে সাথে সাথেই স্মরণ করবেন। মহান আল্লাহ পাককে যখন সবচেয়ে বেশি ভালোবাসবেন, অবশ্যই তার রাসুলকে ভালোবাসবেন, মুমিন ব্যক্তিদের ও ভালোবাসবেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। সূরা বাকারার একশত পঁয়ষটি নাম্বার আয়াতে উল্লেখ আছে, মুমিনরা আল্লাহ তায়ালাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন, আরব দেশে রেডিও টেলিভিশনে কথায় কথায় বলে, উতিব্বকা রাদি অর্থ হে আমার প্রতি পালক তোমাকে ভালোবাসি। আমাদের মুখ থেকেও যেন সর্বদাই বের হয়, হে আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসি। মহান আল্লাহ পাককে ভালোবাসলে ঠকবেন না। অন্তরে থাকলে অবশ্যই আল্লাহ পাকের নাম মুখে আসবে ইনশাল্লাহ। সবচেয়ে বেশি ভয় আমাদে রবকে করবেন। যে কোনো পাপ কাজ করে, আল্লাহকে ভয় করে পাপ কাজ ছেড়ে দিলে জান্নাতে যেতে পারবেন। কারণ আপনার জান, মহান আল্লাহর হাতের মধ্যে তিনি আপনাকে যা ইচ্ছা করতে পারেন, ধনী বানানো দরিদ্র বানানো, অসুস্থ বানানো, সুস্থ বানানো সব তাঁর হাতের মধ্যেই, তিনিই ভাগ্য গড়েন এবং ভাঙেন। তিনি যদি দেন তবে পৃথিবীর কোন শক্তি তা রুখতে পারবে না। আর তিনি যদি না দেন তবে পৃথিবীর কেউ দিতে পারবে না। ভালোমন্দ সবই তার হাতের মধ্যে। সবাই আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক ছাড়া, সে জন্য মহান আল্লাহ পাকের ইবাদত করতে করতে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে। মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। মনে রাখবেন তিনি। আপনার মনের খবর জানেন, আপনি বুকের মধ্যে যা কিছু পালনপালন করেছেন তিনি জানেন, তিনিই আপনার প্রকৃত মালিক। আপনার মনের মধ্যে যেন আর কোনো জায়গা না থাকে। কারও সাথে বন্ধুত্ব থাকলে সেটা হবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাককে ভয় করেন- মহান আল্লাহ পাক তার জন্য সব ধরনের পথ করে দেন। মহান আল্লাহ পাকের হারামকে ভয় করুন। ছগিরা কবিরা গুনাহ হতে বাঁচুন।
আল্লাহ তা'য়ালা এ পৃথিবীতে যত প্রকার গাছপালা সৃষ্টি করেছেন, সকল গাছের ডালপালা কেটে যদি কলম বানানো হয়। আর যত নদ-নদী, সাগর, মহাসাগর, খালবিল, পুকুর-ডোবার পানি যদি কালি বানানো হয়। সেই কলম আর কালি দিয়ে আল্লাহ তায়ালার গুণ গান লেখা হয়, এক সময় কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু আল্লাহর গুণগান লেখা শেষ হবে না। পৃথিবীতে সৃষ্টিকুলের মধ্যে রয়েছে প্রাণিকুল, এ প্রাণিকূলের সকল প্রাণীর রিযিকের ফায়সালা তিনিই অর্থাৎ আল্লাহ পাকই
করে থাকেন।
তাই আমাদের সকলের উচিত সবসময় মহান আল্লাহ তা'য়ালাকে স্মরণ করা, তাঁর প্রশংসা করা, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা।